স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড. মুহাম্মদ আল আবদ আল আলী জানান, হজের পবিত্র স্থানগুলোতে হজযাত্রীদের জন্য এবার প্রায় পাঁচ হাজার বেড ও ১৮০টি অ্যাম্বুল্যান্সসহ ২৫টি হাসপাতালের ব্যবস্থা রয়েছে। যেখানে দুই হাজার পাঁচ শ স্বাস্থ্যকর্মী চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এদিকে হজযাত্রীদের ক্লিনিক, মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি, ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে যাওয়ার পর নির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করছেন চার শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। এবার বিভিন্ন দেশের তিন শ শারীরিক প্রতিবন্ধী হজ পালন করেন এবং সৌদি সরকারের অতিথি হিসেবে ১৮৫ জন হজ পালন করেন।
পবিত্র মসজিদুল হারাম বা গ্র্যান্ড মসজিদে ১০ লাখ হজযাত্রীর প্রবেশের জন্য ১৪৪ দরজাটি উন্মুক্ত রাখা হয়। করোনা সংক্রমণরোধে গ্র্যান্ড মসজিদ প্রতিদিন ১০ বার জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহার করা হয় ১০ হাজার লিটার জীবাণুনাশক। এ ছাড়া মুসল্লিদের জন্য মসজিদে রাখা হয় পবিত্র কোরআনের ৮০ হাজার কপি। প্রতিদিন ৩০ লাখ ঠাণ্ডা জমজম পানির বোতল মুসল্লিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। বৃদ্ধ ও অসুস্থদের জন্য ১৮ শ ইলেট্রিক ট্রলির ব্যবস্থা করা হয়।
বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হজযাত্রীদের ১৩ ভাষায় বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার ব্যবস্থা করা হয়। আরাফার দিন মসজিদে নামিরায় প্রদত্ত খুতবা ১৪ ভাষায় লাইভ অনুবাদ সম্প্রচার করা হয়। প্রতিদিন ৪৮ লাখ খাবার পরিবেশনে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৯৫ কম্পানিকে। প্রতিবছরের মতো এবারও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে দুই হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেওয়া হয়। হজযাত্রীদের যাতায়াতে প্রতিদিন জেদ্দা থেকে মক্কায় ৩০ ট্রিপ এবং মদিনায় ১৪ ট্রিপ দিয়েছে আল-হারামাইন ট্রেন।
করোনাকালের দীর্ঘ দুই বছরের বিধি-নিষেধের পর এ বছর ১০ লাখের বেশি মুসলিম হজ পালন করছেন। এর মধ্যে সৌদি থেকে দেড় লাখ ও সারা বিশ্ব থেকে সাড়ে আট লাখ লোক হজ পালন করবেন। ২০২১ সালে সৌদিতে অবস্থানরত মাত্র ৬০ হাজার লোক হজ পালন করেছেন। আর ২০২০ সালে কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে ১০ হাজারের মতো লোক হজ পালন করেন। করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে ২৫ লাখের মতো লোক হজ পালন করেছেন।
সূত্র : আরব নিউজ ও সৌদি গেজেট