বার্তা সংস্থা ইকনা:ইরান সফররত ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি এবং তার সফরসঙ্গীদেরকে দেয়া সাক্ষাতে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানিও উপস্থিত ছিলেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশের সরকার ও কোম্পানির প্রতিনিধিরা ইরান সফর করছে এবং ইরানের সঙ্গে আলোচনা করছে। কিন্তু এসব সফর ও আলোচনার কোনো বাস্তব ফল এখনো দেখা যায়নি বলে জানান তিনি।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, কেউ কেউ এর জন্য আমেরিকাকে দায়ী করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতীত আচরণ এবং কার্যকলাপের ভিত্তিতে এ কথা গ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে পরমাণু আলোচনায় দেয়া অঙ্গীকারও পূরণ করছে না আমেরিকা। তিনি আরো বলেন, তাদের বক্তব্য এবং কার্যকলাপের মাধ্যমে হুমকি দেয়া হচ্ছে, ফলে অন্যরা ইরানের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না।
ইতালির বিষয়ে ইরান আশাবাদী বলে জানান সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, আমেরিকার প্রতি আনুগত্যের কারণে কোনো কোনো ইউরোপীয় দেশকে এভাবে দেখে না ইরান।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে ইরান এবং ইতালি সহযোগিতা করতে পারে। এ সময় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দেয়ার কারণে কোনো কোনো ইউরোপীয় দেশের সমালোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিপদজনক টেউ ইউরোপেও পৌঁছে গেছে।
রেনজি এ সময় ইউরোপে সন্ত্রাসবাদের ঢেউ পৌঁছে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থ এবং অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে এ সংকট নিরসন করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ের অজুহাতে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করার প্রবণতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রেনজি। এ সময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন। সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য ট্রাম্প নিয়মিতই মুসলমানদের দায়ী করে আসছেন।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন- শান্তি, সংলাপ এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের কথাই বলে ধর্ম। সূত্র: আইআরআইবি#