বার্তা সংস্থা ইকনা: তিনি বলেন, সব ধরনের হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিশ্ববাসীর উচিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো। জর্ডানের মানুষ নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে রয়েছে এটি জানাতে আমি এখানে এসেছি।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে জর্ডানের রানী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, তথ্যমতে কক্সবাজারের এ এলাকায় এখন স্থানীদের চেয়ে আশ্রিতদের সংখ্যা দ্বিগুণ। এতে বোঝা যায় নিজেদের নানা দিকে ক্ষতির পরও নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ, যা বিশ্ব দরবারে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
তিনি নিপীড়িত মানবতা রক্ষায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে সবার প্রতি অনুরোধ করে বলেন, আশ্রিতদের অধিকাংশই নারী-শিশু ও বৃদ্ধ। জাতিসংঘের উচিত এদের বিশেষ যত্ন নেয়া। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে নিরলস কাজ চালাতে জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
এর আগে সোমবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে জর্ডানের রানী উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান। এরপর তিনি রোহিঙ্গা বস্তি ও আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক এনজিও পরিচালিত স্কুলগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে খেলে তাদের আনন্দ দেন। তিনি ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে সবার উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বেলা ১১টায় তাকে বহনকারী বিমান কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছে। এরপর তার গাড়িবহর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দেয়।
তার আগমন উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। ফলে কক্সবাজার শহর ও কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। একই অবস্থা ছিল মেরিন ড্রাইভ সড়কেও।
প্রসঙ্গত, জর্ডানের রানী রানিয়া আবদুল্লাহ ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) বোর্ড সদস্য। একই সঙ্গে তিনি জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলোর পরামর্শক। আরটিএনএন