বার্তা সংস্থা ইকনা: তিনি বলেন, তার দেশে থেকে কট্টর রক্ষণশীলতা ভেঙে ‘মধ্যপন্থী ইসলাম’ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, 'আমরা স্বাভাবিক জীবন চাই। যে জীবনে ধর্মের মানে হচ্ছে সহনশীলতা ও দয়ার ঐতিহ্য।'
তিনি আরো বলেন, ‘ধ্বংসাত্মক ধ্যান-ধারণা নিয়ে আমরা আর চলতে চাই না। সেগুলো আজ থেকেই ধ্বংস করে ফেলা হবে। আমরা শিগগিরই চরমপন্থার ইতি টানব।’
সত্তরের দশকের আগ পর্যন্ত সৌদি আরবে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছিল। এরপর ১৯৭৫ সালে বাদশাহ ফয়সালকে হত্যার পর দেশটি কট্টর রক্ষণশীলদের শাসনে চলে যায়।
মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা আগে যে রকম ছিলাম সেই অবস্থায় ফিরে যাচ্ছি, সেটা হচ্ছে মধ্যপন্থী ইসলাম, যা বিশ্বের সব ধর্মের এবং সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত।’
মঙ্গলবার মোহাম্মদ বিন সালমান ওই অনুষ্ঠানে জানান, সৌদি আরবের তরুণ প্রজন্মের প্রতি তার আস্থা আছে। তারা তেল নির্ভর বিশ্ব-ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। এ সময় সৌর বিদ্যুতের উপকারিতা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
যুবরাজ বলেন, ‘সৌদি আরবের ৭০ শতাংশ মানুষের বয়স ৩০ বছরের নিচে। এখনই আমরা উগ্রপন্থাকে ধ্বংস করব ’।
চলতি বছরের জুনে যুবরাজ নিযুক্ত হন মোহাম্মদ বিন সালমান। এর পর থেকে বিভিন্ন খাতে তিনি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রিয়াদে আয়োজিত বিনিয়োগ বিষয়ক এ সম্মেলনটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম পড়ে যাওয়ার পর নিজেদের পরিবর্তিত অর্থনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাকে বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের সামনে তুলে ধরার জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি।
iqna